চোখের যত্ন নেওয়ার সহজ ও ভেষজ উপায় eye care tips for beautiful eyes

চোখের যত্ন নেওয়ার সহজ ও ভেষজ উপায় eye care tips for beautiful eyes

আমরা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ভালো রাখতে যত চেষ্টা করি চোখের যত্ন কিভাবে নিতে হয় তা ততটা ভাবি কি ? চোখের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন কেন ? এখানে এই প্রসঙ্গে কিছু চোখের যত্ন নেওয়ার সহজ ও ভেষজ উপায় এবং তার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হয়েছে।


আজকের সময়ে আমরা এমন জীবন যাত্রায় অভ্যস্ত যেখানে আমরা যতক্ষণ জেগে থাকি তার বেশিরভাগ(বা সবটা) সময়ই স্ক্রিন টাইম। অর্থাৎ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের চোখের সামনে মোবাইল ফোন,ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা টিভি স্ক্রিন থাকে। এর ফল এই হয় যে আমরা যদিও বিশ্রাম নিতে পারি , আমাদের চোখ বিশ্রাম পায় না। আমরা বিশ্রাম নিতে নিতেও মোবাইল বা অন্য কোন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকি যতক্ষণ না ঘুমিয়ে পরি । এতে করে আমাদের চোখের বিশ্রাম যতটা দরকার ততটা হয় না।তাই চোখের যত্ন কিভাবে নিতে হয় এবং তার আরামের জন্য কি প্রয়োজন তা জানা উচিত।

সাধারণ অনুসরণযোগ্য নিয়মাবলী:

  • সবুজ প্রকৃতি প্রদুষণ মুক্ত হাওয়া এতে সকালবেলা উঠে তাকিয়ে থাকলে চোখের অনেক আরাম হয়, এগুলি আমরা ছোটবেলা থেকেই জানি। এই অভ্যাসটা জারি রাখতে পারলে আমাদের চোখের অনেক উপকার হবে।


  • আপনি যদি খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকেন তবে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে চোখের ক্ষতি হবে। শুধু সূর্যের দিকে সরাসরি তাকালে চোখ খারাপ হবে এমন নয় সূর্যের আলো কোথাও প্রতিফলিত হয়ে আপনার চোখে পড়লে এ ধরনের ক্ষতি হতে পারে। যেমন আপনি যদি কোন বরফের জায়গা তে বেড়াতে যান তাহলে সূর্যের আলো বরফে প্রতিফলিত হয়ে আপনার চোখে পড়তে পারে এবং অতিবেগুনি রশ্মির খারাপ প্রভাব আপনার চোখে হতে পারে। এই থেকে বাঁচার জন্য বিশেষজ্ঞরা সানগ্লাস করার পরামর্শ দেন।


  • আমরা হাত দিয়ে অনেক কাজ করার পর হাতে নোংরা সহ অনেক সময় চোখে হাত দিয়ে ফেলি এতে হাতের নোংরা চোখে চলে যায় এবং চোখের অনেক রোগ হতে পারে। তাই চোখে হাত দেওয়ার আগে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।


  • শাক সবজি ও ফল মূলের বৈচিত্র্য আপনার খাবারে রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খাবারে শাক সবজি ও টাটকা ফল মূল থাকলে শরীরে জলের অভাব কম হয়, পেট পরিষ্কার থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রভাব কম হয়।এই খাবার চোখের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়।


  • করোনা পরিস্থিতির চাপে এবং আমাদের দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার মধ্যে কাজের চাপ অনেক বেড়ে গেছে তাই মোবাইল, ল্যাপটপ এসবের দিকে সব সময় তাকিয়ে থেকে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। এর প্রেসার চোখের উপরে পড়ে এবং এতে চোখ খারাপ হয়, চোখের কর্নিয়া শুকিয়ে যেতে পারে। এ থেকে বাঁচার জন্য প্রতি কুড়ি মিনিট অন্তর স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


  • ধুমপান করবেন না। ধুমপান করা বা চোখে বারবার ধোঁয়া লাগা থেকে চোখের কর্ণিয়ার ক্ষতি হয় এবং দৃষ্টি শক্তি খারাপ হয় । এভাবে চোখের ওপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার নিরাময় করা সম্ভব নয়।

চোখের কোন অসুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো ভালো। চোখের অসুবিধা পুষে রাখলে চোখ ভিতরে খারাপ হয়ে যাবে, পড়ে সেটা ঠিক করা নাও যেতে পারে তাই চোখের বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত।



এখন কিছু ভেষজের গুনাগুন জেনে নেওয়া যাক যাদের চোখের ওপর উপকারী ও আরামদায়ক প্রভাব আছে।

বিলবেরি :

বিলবেরিগুলি ব্লুবেরির চেয়ে ছোট এবং গাঢ় নীলাভ আভাযুক্ত রঙ থেকে প্রায় কালো রঙের হয়। এগুলি ভিতরেও কালো, যেখানে ব্লুবেরির ফ্যাকাশে সবুজ পাল্প রয়েছে। ... বিলবেরিগুলি ব্লুবেরির চেয়ে বেশি তীব্র স্বাদ ও গন্ধ যুক্ত, কিন্তু তারা ব্লুবেরির চেয়ে নরম এবং রসালো হয় ।

এই ভেষজের মধ্যে শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেমন অ্যানথোসায়ানিন মা ব্লুবেরি এবং ক্র্যানবেরিতে থাকে।

বিলবেরি মুখে খেতে হয় দুর্বল রক্ত সঞ্চালনের জন্য। বিলবেরি পা ফোলা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিছু লোক ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গাউট, মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই) এবং অন্যান্য অনেক অবস্থার জন্য বিলবেরি গ্রহণ করে। মুখে প্রয়োগ করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

Blueberry
Blueberry

                   Picture credit:pixabay

এটা প্রচলিত আছে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রয়্যাল এয়ার ফোর্স পাইলটদের বিলবেরি রস খেতে দেয়া হতো যা তাদের রাতের বেলায় দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতো।

চোখের অসুবিধা যেমন রেটিনা, ছানি, অদূরদর্শীতা এবং গ্লুকোমা রোগের চিকিৎসার জন্যও মাঝে মাঝে বিলবেরি মুখের ওষুধ দিয়ে ব্যবহার করা হয়। কিছু প্রমাণ আছে যে বিলবেরি রেটিনার ব্যাধিতে সাহায্য করতে পারে, তবে চোখের অন্যান্য অবস্থার চিকিত্সার জন্য বিলবেরি কার্যকরী এমন কোনও ভাল বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। আসলে, বিলবেরি একসময় সাধারণত রাতের দৃষ্টিশক্তির উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হত।

চোখের রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু রক্ত প্রবাহ কম হলে চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যায়। তাই রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে রেটিনা ভাল রাখে।

Billberry
Billberry

       Picture credit Wikimedia commons

গবেষণায় জানা গিয়েছে যে black currant (Ribes nigrum) নামে একটি বেরি থেকে পাওয়া অ্যানথোসায়ানিন দৃষ্টি শক্তিকে অন্ধকারে দ্রুত সহ্য করে ও মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এটি চোখের ক্লান্তি দূর করে।

কোন কোন অসুবিধায় দেওয়া হয় তবে আরও প্রমান প্রয়োজন :

চোখের ব্যাধিগুলির একটি গ্রুপ যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস (গ্লুকোমা) করতে পারে। প্রারম্ভিক গবেষণা দেখায় যে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি বিলবেরি রাসায়নিক ১২ মাস ধরে প্রতিদিন দুবার অন্তত ৬০ মিলিগ্রাম গ্রহণ করা   গ্লুকোমায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। 

উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি) রোগীদের দৃষ্টি সমস্যা :

অ্যান্থোসায়ানোসাইড নামক একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক উচ্চ পরিমাণে যুক্ত বিলবেরি ফল খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের সাথে সম্পর্কিত রেটিনার সমস্যাগুলিকে উন্নত করে বলে মনে হয়।

ছানি

স্বল্প দৃষ্টি

নিরাপত্তা :

সাধারণ খাবার ডোজে নিরাপদ


কোন অসুবিধা থাকলে দেয় না :

ডায়াবেটিস 

গর্ভাবস্থায়

সার্জারি

কোন ওষুধ সেবন করলে এটা দেওয়া হয় না :

সুগারের ওষুধ

রক্ত জমাট বাঁধা ওষুধ


ডোজ

রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে ১৭৩ অ্যনথোসায়ানিন যুক্ত বিলবেরি নির্যাস প্রতিদিন ৩০ দিন মুখে খেতে হবে।


কোলিয়াস :

কোলিয়াস হল বার্ষিক বা বহুবর্ষজীবী ঔষধি বা গুল্মের একটি প্রজাতি, কখনও রসালো, কখনও কখনও মাংসল বা টিউবারাস রুটস্টক সহ, ওল্ড ওয়ার্ল্ড ট্রপিকস এবং সাবট্রপিক্সে পাওয়া যায়।


Coleus
Coleus

      Picture credit Wikimedia commons


বলা হয় যে কোলিয়াস চোখে যে তরল পদার্থ থাকে তার তৈরী হওয়া কমিয়ে দিতে পারে। এর ফলে চোখের প্রেসার কম হয় যেহেতু তরল কম হয় এবং গ্লুকোমার প্রভাব কম হয়।

এটা রক্ত চাপ কমায়, হৃৎপিণ্ড রেট বাড়ায়, রক্ত নালী চওড়া করে। এতে চোখের মধ্যে তরল উৎপাদন কমে। তাই চোখের প্রেশার কমে যায়।

এক গুচ্ছ চোখের ব্যাধি যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস (গ্লুকোমা) করতে পারে। প্রাথমিক গবেষণা দেখায় যে ফোরস্কোলিন এবং অন্যান্য উপাদান সম্বলিত একটি নির্দিষ্ট পরিপূরক গ্রহণ করলে গ্লুকোমা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চোখের চাপ ( প্রেশার) কিছুটা কমতে পারে।


 প্রেসক্রিপশন ড্রাগ থেরাপির সাথে কোলিয়াসের নির্যাস এবং অন্যান্য উপাদান সম্বলিত একটি ভিন্ন পণ্য গ্রহণ করলে গ্লুকোমা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চোখের চাপ কমে যায়। এই উন্নতিগুলি কোলিয়াস, অন্যান্য উপাদান বা সংমিশ্রণের কারণে হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।


Coleus
Coleus

    Picture credit Wikipedia


শুকনো চোখ. প্রাথমিক গবেষণা দেখায় যে ৩০ দিনের জন্য কোলিয়াস নির্যাস এবং অন্যান্য উপাদান সম্বলিত একটি সম্পূরক গ্রহণ করলে চোখের শুষ্ক লক্ষণগুলি মাঝারিভাবে কমে যায়। এই সুবিধাটি কোলিয়াস, অন্যান্য উপাদান বা সংমিশ্রণের কারণে হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।


চোখের ফোটা হিসেবে ব্যবহৃত হলে এটা নিরাপদ তবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। চোখে দেওয়ার পর জ্বালা করতে পারে। খাবার হিসেবে ৬০০ মিগ্রা পর্যন্ত কোন অসুবিধা নেই।

বেশি খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় যেমন পেটের সমস্যা,ডায়েরিয়া ।


নিম্নোক্ত অবস্থায় এড়িয়ে চলুন :

গর্ভাবস্থায়

মাতৃদুগ্ধ পান করাচ্ছেন যারা

কম রক্ত চাপ

হার্টের সমস্যায়

সার্জারি

রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যা আছে তারা


এর সঙ্গে নেওয়া এড়িয়ে চলুন :

রক্ত জমাট বাঁধা ওষুধ

হার্টের ওষুধ

প্রেশারের ওষুধ


আইব্রাইট (ইউফ্রেসিয়া) :

 চোখ ভাল রাখার জন্য বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই ভেষজের ব্যবহার চলে আসছে। প্রকৃত অর্থে চোখের যত্ন নিতে বা চোখ ভাল রাখার জন্য যে সকল পণ্য খাওয়া ও চোখে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় তার  বেশিরভাগেরই প্রধান উপাদান আইব্রাইট । সাউথ আফ্রিকার একটি গবেষণায় দেখা গেছে আইব্রাইট এর ফোটা চোখ ওঠা সারায় খুব তাড়াতাড়ি।

গবেষণা দেখায় যে লাল চোখের প্রায় ৮২% লোক যারা চোখের উজ্জ্বল চোখের ড্রপ ব্যবহার করেন তাদের লক্ষণগুলি ২ সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু লাল চোখ সাধারণত ২ সপ্তাহের মধ্যে নিজেই সমাধান হয়ে যায়। সুতরাং, এটি অস্পষ্ট যে আইব্রাইট কোন সুবিধা যুক্ত করেছে কিনা।

Eyebright
Eyebright 
Picture credit Flickr

আইব্রাইটে থাকা রাসায়নিকগুলি অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে।

কিছু রোগ ব্যাধি যেমন :-

এলার্জি। 

সর্দি। 

কাশি। 

কানে ব্যথা। 

মাথাব্যথা। 

অনুনাসিক গহ্বর এবং সাইনাস (রাইনোসিনুসাইটিস) এর ফোলা (প্রদাহ)  কমাতে ও অন্যান্য সমস্যায় আইব্রাইট ব্যবহার উপযোগী।

তবে সমস্ত রোগ ব্যাধিতে ব্যবহারের জন্য আইব্রাইটের কার্যকারিতা রেট করার জন্য আরও প্রমাণের প্রয়োজন।


Eyebright
Eyebright
Picture credit Wikimedia


আইব্রাইট এর ডোজ :

আইব্রাইটের উপযুক্ত ডোজ ব্যবহারকারীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য অবস্থার মতো বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে।

 এই সময়ে আইব্রাইটের জন্য উপযুক্ত মাত্রা নির্ধারণের জন্য পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই। মনে রাখবেন যে প্রাকৃতিক পণ্যগুলি সর্বদা নিরাপদ নয় এবং ডোজগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। 

 পণ্যের লেবেলগুলিতে প্রাসঙ্গিক নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে ভুলবেন না এবং ব্যবহার করার আগে আপনার ফার্মাসিস্ট বা চিকিত্সক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।


সংক্রমণের গুরুতর ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, কিছু লোক কনজাক্টিভাইটিস, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া (ব্লেফারাইটিস) এবং চোখের ক্লান্তির জন্য সরাসরি আইব্রাইট প্রয়োগ করে।

Eyebright
Eyebright
Picture credit flickr

যখন আইব্রাইট এর রস সরাসরি চোখের মধ্যে প্রয়োগ করা হয়:

 আইব্রাইট সম্ভবত অনিরাপদ। এটি দূষিত হতে পারে এবং চোখের সংক্রমণ হতে পারে। এতে চোখের পর্দা ছিঁড়ে যাওয়া, চুলকানি, লালভাব, দৃষ্টি সমস্যা এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে।

আইব্রাইট এর ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ প্রস্তুত সামগ্রী কিনতে পারেন যা ফোটা ফোটা করে চোখে দেওয়া যায় এবং এটা নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত ।

আইব্রাইট ব্যবহার: সতর্কতা এবং বিশেস সতর্কতাসমূহ 

গর্ভাবস্থা এবং বুকের দুধ খাওয়ানো: গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আইব্রাইট ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা তা জানার জন্য যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই।তাই এই সব সময়ে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন এবং নিরাপদে থাকুন।
 ডায়াবেটিস: আইব্রাইট কিছু লোকের রক্তে শর্করা কমাতে পারে। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে এবং আইব্রাইট ব্যবহার করেন তবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) লক্ষণগুলির জন্য দেখুন এবং আপনার রক্তে শর্করার সাবধানে নিরীক্ষণ করুন।
  সার্জারি: আইব্রাইট কিছু লোকের রক্তে শর্করা কমাতে পারে। তত্ত্বগতভাবে, আইব্রাইট অস্ত্রোপচারের সময় এবং পরে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ প্রভাবিত করতে পারে। নির্ধারিত অস্ত্রোপচারের কমপক্ষে 2 সপ্তাহ আগে আইব্রাইট ব্যবহার বন্ধ করুন।

 মুখ দিয়ে নেওয়া হলে:

 খাবারে পাওয়া পরিমাণে নেওয়া হলে আইব্রাইট সম্ভবত নিরাপদ। 
কিন্তু ওষুধে পাওয়া পরিমাণে গ্রহণ করলে আইব্রাইট  নিরাপদ কিনা তা জানার জন্য যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। 
এটি বিভ্রান্তি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, কাশি, শ্বাস নিতে সমস্যা, ঘুমাতে সমস্যা (অনিদ্রা) এবং অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। 

BUY EYEBRIGHT DROP ON 1MG

অ্যাসপারাজাস‌ :

চোখের যত্ন ও ভাল দৃষ্টি শক্তির জন্য আপনি যদি চিন্তা করেন তবে অ্যাসপারাজাস এর কথা ভূলবেন না। এটি অন্য যে কোন কিছু থেকে ভালো ভাবে দৃষ্টি শক্তির উন্নতি করে। এটা চোখকে উজ্জ্বল চকচকে করে তোলে। 

এক চামচ অ্যাসপারাজাস , মধু,গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। কয়েক মাস এটি করলে আপনি পরবর্তন বুঝতে পারবেন।


Asparagus
Picture credit pxfuel

কিছু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে যে অ্যাসপারাগাস প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে পারে। এর দ্বারা চোখের তরল বেরিয়ে যায় এবং চোখের প্রেশার কমে ।


 অ্যাসপারাগাস ডায়েটারি ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি 6 এবং বেশ কয়েকটি খনিজগুলির একটি ভাল উৎস।

অ্যাসপারাগাসের উপযুক্ত ডোজ ব্যবহারকারীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য অবস্থার মতো বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে।

 মনে রাখবেন যে প্রাকৃতিক পণ্য সবসময় নিরাপদ নয় এবং সেক্ষেত্রে ডোজ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

  পণ্যের লেবেলগুলিতে প্রাসঙ্গিক নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে ভুলবেন না এবং ব্যবহার করার আগে আপনার ফার্মাসিস্ট বা চিকিত্সক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন।


৬ গ্রাম প্রতিদিন বা তার বেশি খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যেমন পেটের সমস্যা, পা ফোলা ইত্যাদি দেখা যায়।



Asparagus
Picture credit pxfuel

গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয়। মাতৃদুগ্ধের মধ্যে সঞ্চারিত হয় কি না তার ওপর যথেষ্ঠ গবেষণা নেই তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের এই ভেষজের ব্যবহার না করাই ভালো,  তবে খেলে নিরাপদ খাবার পরিমাণে খেতে হবে ।



যাদের পেঁয়াজ রসুন লঙ্কা -এসবের প্রতি অ্যালার্জি আছে তাদের শতমূলী থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।


বন্ধুরা আপনাদের মনে করে দিতে চাই এই ভেষজেরা হয়তো আপনার চোখে আরাম দিতে পারে , তবে আপনার যদি দৃষ্টি শক্তির অসুবিধা হয় বা চোখের গভীর কোন সমস্যা হয় তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন, এটাই শ্রেয় ।


Share:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your time to comment and ; no spam link please.

Copyright © Sarkarcare. Designed by OddThemes