ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন কি খাবেন এবং কি এড়াবেন

ব্রেস্টফিডিংয়ের সময় মায়ের খাবার শিশুর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই কিছু খাবার এড়িয়ে চলা এবং কিছু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
❌ ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলো
- অ্যালকোহল: মাতৃদুগ্ধে অ্যালকোহল পৌঁছে শিশুর ঘুম এবং বিকাশে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: ফাস্ট ফুড ও চিপসে অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে। এগুলো মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- সামুদ্রিক মাছ: অনেক সামুদ্রিক মাছ পারদযুক্ত, যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতিকর হতে পারে।
- কফি: অতিরিক্ত ক্যাফেইন শিশুর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। দিনে ১ কাপ যথেষ্ট।
- পুদিনা ও পার্সলে: এগুলো দুধ উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।
✅ এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত
- তাজা ফল ও সবজি
- ওটস, লাল চাল, আটা
- বাদাম, চিয়া বীজ
- দুধ, দই, পনির
- ডাল, ডিম, মুরগির মাংস
🌿 ঘরোয়া টিপস: দুধ উৎপাদন বাড়াতে
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পানি পান
- ডাল, ওটস ও ল্যাকটেশন ফ্রেন্ডলি খাবার খান
- স্ট্রেস কমান এবং নিয়মিত ব্রেস্টফিড করুন
❓ FAQ: আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর
১. অল্প পরিমাণে কফি খাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, দিনে এক কাপ কফি গ্রহণ করা নিরাপদ।
২. দুধ কমে গেলে কী খাব?
ডাল, ওটস, জিরা জল, মেথি ইত্যাদি ঘরোয়া উপায়ে সাহায্য করতে পারে।
৩. সামুদ্রিক মাছ পুরোপুরি বাদ দিতে হবে?
না, কিন্তু পারদবিহীন মাছ যেমন পাঙ্গাস, রুই সীমিত পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ।
৪. পুদিনা পাতা কি একেবারেই নিষেধ?
না, অল্প খেলে সমস্যা নেই, তবে নিয়মিত এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
📌 উপসংহার
ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন স্বাস্থ্যকর খাদ্য নির্বাচন মা ও শিশুর জন্য জরুরি। এই গাইডটি অনুসরণ করে আপনি সহজেই একটি নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং অন্য মায়েদেরও জানাতে সাহায্য করুন।
Post a Comment
Thanks for your time to comment and ; no spam link please.